কোন বাদাম ভালো? কাচা বাদাম নাকি ভাজা বাদাম? চলুন যেনে নেই আপনার জন্য কোন বাদাম ভাল।

কোন বাদাম ভালো? কাচা বাদাম নাকি ভাজা বাদাম? চলুন যেনে নেই আপনার জন্য কোন বাদাম ভাল।

কোন বাদাম ভালো? কাচা বাদাম নাকি ভাজা বাদাম?

কাঁচা বাদাম এবং রোস্টেড (ভাজা) বাদাম দুটিই পুষ্টিকর, তবে তাদের মধ্যে কিছু পার্থক্য রয়েছে যা আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী পছন্দ করতে সাহায্য করবে। কোন বাদাম ভালো? কাচা বাদাম নাকি ভাজা বাদাম। এটা নির্ভর করবে আপনার প্রয়োজনের উপর। এখানে কাচা এবং ভাজা বাদাম নিয়ে তুলে ধরা হল।

১. কাঁচা বাদাম:

উপকারিতা:

  • প্রাকৃতিক পুষ্টিগুণ বজায় থাকে: কাঁচা বাদামে প্রাকৃতিকভাবে যে ভিটামিন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে, তা রোস্ট করার সময় নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
  • কম ফ্যাট ক্ষতি: রোস্ট করার সময় বাদামের ফ্যাট প্রোফাইল কিছুটা পরিবর্তিত হতে পারে, কিন্তু কাঁচা বাদামে সেই পরিবর্তন ঘটে না।
  • প্রক্রিয়াজাতকরণের কম ঝুঁকি: কাঁচা বাদামে অতিরিক্ত লবণ বা চিনি যোগ করার কোনো ঝুঁকি থাকে না, যা প্রক্রিয়াজাত রোস্টেড বাদামে থাকতে পারে।

সতর্কতা:

  • ব্যাকটেরিয়া ঝুঁকি: কাঁচা বাদামে (বিশেষ করে কাঁচা চিনাবাদামে) ব্যাকটেরিয়া, যেমন সালমোনেলা থাকার ঝুঁকি থাকে, যদিও এই ঝুঁকি খুব বেশি নয়। তবে সংরক্ষণের নিয়ম মানলে ঝুঁকি কমে যায়।

২. রোস্টেড বাদাম:

উপকারিতা:

  • স্বাদ বৃদ্ধি: রোস্টেড বাদামগুলো সাধারণত বেশি সুস্বাদু হয় এবং এর সুগন্ধ এবং মিষ্টি-স্বাদ অনেকের কাছে আকর্ষণীয় মনে হয়।
  • ব্যাকটেরিয়া ঝুঁকি কম: রোস্টিং করার সময় উচ্চ তাপমাত্রা ব্যবহার করা হয়, যা ব্যাকটেরিয়া এবং অন্যান্য দূষণ থেকে মুক্তি দেয়।

সতর্কতা:

  • নিউট্রিয়েন্ট লস: উচ্চ তাপমাত্রায় রোস্ট করলে কিছু ভিটামিন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ধ্বংস হয়ে যেতে পারে, বিশেষত ভিটামিন ই এবং কিছু পলিফেনল। এক্ষেত্রে কম হিটে এয়ার ফ্রাইড বাদাম খাওয়া যেতে পারে।
  • ফ্যাট অক্সিডেশন: দীর্ঘ সময় ধরে রোস্ট করলে বাদামে থাকা স্বাস্থ্যকর ফ্যাটগুলো অক্সিডাইজ হয়ে যেতে পারে, যা তাদের পুষ্টিমান কমিয়ে দেয়।
  • লবণ ও চিনি যোগ করা: প্রক্রিয়াজাত রোস্টেড বাদামে অতিরিক্ত লবণ বা চিনি যোগ করা হয়ে থাকে, যা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।

কোনটি ভালো?

  • কাঁচা বাদাম যদি আপনি প্রাকৃতিক পুষ্টিগুণ ধরে রাখতে চান এবং লবণ ও চিনি এড়িয়ে চলতে চান, তবে কাঁচা বাদাম উত্তম।
  • শুষ্কভাবে রোস্টেড (Dry Roasted) বাদাম একটি ভালো বিকল্প হতে পারে, কারণ এতে তেল যোগ করা হয় না এবং রোস্টিং-এর মাধ্যমে ব্যাকটেরিয়া ঝুঁকি কমে যায়। তাই ভাজা স্বাস্থ্যকর ভাবে ভাজা বাদাম খেতে চাইলে এয়ার ফ্রাইড বাদাম খাওয়া যেতে পারে।

সার্বিক পরামর্শ:

  • স্বাস্থ্যকর পুষ্টি গ্রহণের জন্য কাঁচা বা শুষ্ক রোস্টেড বাদাম সবচেয়ে ভালো। তবে বাজার থেকে কিনলে লবণ বা চিনি ছাড়া বাদাম কিনতে চেষ্টা করা উচিত। তবে যাদের লো প্রেশারের সমস্যা থাকে তারা পরিমিত লবন যুক্ত বাদাম ও খেতে পারেন।

এয়ার ফ্রাইড ভাজা বাদাম কেন খাবেন

এয়ার ফ্রাইড বাদাম, অর্থাৎ এয়ার ফ্রায়ার ব্যবহার করে তাপ প্রয়োগে বাদাম ভাজা, স্বাস্থ্যকর একটি বিকল্প হতে পারে, বিশেষ করে যদি আপনি প্রচলিত তেলে ভাজা বাদাম এড়িয়ে চলতে চান। এয়ার ফ্রাইড বাদামের কিছু উপকারিতা এখানে তুলে ধরা হলো:

১. কম তেল ব্যবহার:

  • এয়ার ফ্রায়ারে ভাজা বাদামে সাধারণত খুব কম বা কোনো তেল লাগে না। তাই এটি ক্যালোরি ও ফ্যাটের পরিমাণ কমায়, যা আপনার জন্য বেশি স্বাস্থ্যকর।
  • তেল ছাড়াও বাদাম তার স্বাদ ও পুষ্টিগুণ ধরে রাখে, ফলে আপনি অতিরিক্ত ক্যালোরির ঝুঁকি ছাড়াই পুষ্টি উপভোগ করতে পারেন।

২. স্বাদ এবং ক্রাঞ্চ বজায় থাকে:

  • এয়ার ফ্রাইং বাদামগুলোকে ক্রিস্পি এবং সুস্বাদু করে তোলে, ঠিক তেলের ভাজা বাদামের মতো। এতে কোনো তেল ব্যবহৃত না হওয়া সত্ত্বেও স্বাদ এবং মুচমুচে ভাব বজায় থাকে, যা অনেকের জন্য আকর্ষণীয় হতে পারে।

৩. কম অক্সিডাইজড ফ্যাট:

  • তেলে ভাজা বাদামের তুলনায় এয়ার ফ্রাইং কম তাপমাত্রায় হয় এবং এতে ফ্যাটের অক্সিডেশন কম হয়। অতিরিক্ত তাপমাত্রায় রান্না করলে বাদামের স্বাস্থ্যকর ফ্যাট অক্সিডাইজ হয়ে পড়ে, যা শরীরের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।

৪. কম সোডিয়াম:

  • তেলভাজা বা প্রক্রিয়াজাত রোস্টেড বাদামে সাধারণত লবণ বেশি দেওয়া হয়, যা উচ্চ রক্তচাপ বা হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। এয়ার ফ্রাইড বাদাম আপনি নিজের মতো করে প্রস্তুত করতে পারেন, যেখানে লবণ বা অতিরিক্ত উপাদান ব্যবহার না করেও স্বাস্থ্যকরভাবে বাদাম খাওয়া সম্ভব।

৫. অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বজায় থাকে:

  • এয়ার ফ্রায়ারে কম তাপমাত্রায় রান্না করার কারণে বাদামের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ভিটামিনগুলো অনেকটা অক্ষত থাকে। বিশেষ করে ভিটামিন ই এবং পলিফেনল জাতীয় উপাদানগুলো বাদামের পুষ্টিগুণ রক্ষা করে।

৬. স্বাস্থ্যকর স্ন্যাকসের বিকল্প:

  • এয়ার ফ্রাইড বাদাম সহজে তৈরি করা যায় এবং একটি স্বাস্থ্যকর স্ন্যাকস হিসেবে কাজ করে। এটি ক্যালোরি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করতে পারে এবং শরীরের জন্য উপকারী ফ্যাট ও প্রোটিন সরবরাহ করে।

সার্বিকভাবে:

এয়ার ফ্রাইড বাদাম স্বল্প তেল বা তেল ছাড়াই স্বাস্থ্যকর, স্বাদে ভালো এবং পুষ্টিগুণে ভরপুর। যারা স্বাস্থ্যকর স্ন্যাকস খুঁজছেন এবং তেলের ব্যবহার কমাতে চান, তাদের জন্য এয়ার ফ্রাইড বাদাম একটি ভালো বিকল্প।

আপনি যেকোনো ফ্রেশ কাচা বাদাম কিনে বাদাম কে এয়ার ফ্রাই করে নিতে পারেন। অথবা খরচ এবং ঝামেলা বাচাতে সরাসরি এয়ার ফ্রাইড বাদাম অর্ডার করে নিতে পারেন। বাংলাদেশে সর্ব প্রথম এয়ার ফ্রাইড বাদাম আলহামদুলিল্লাহ আমাদের মাধ্যমে হয়েছে।

প্রয়োজনে আমাদের এয়ার ফ্রাইড সেকশনটি ভিজিট করে দেখতে পাড়েন।

https://shadleens.com/product-category/healthy-nuts/air-fried-nuts-in-bangladesh

Leave a Comment

Your email address will not be published.

Share the Post:

Related Posts

৬ ধরনের পিসিওএস – আপনারটি কোনটি? | প্রাকৃতিক সমাধান ও স্বাস্থ্যকর খাবার

পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোম বা পিসিওএস (PCOS) হলো নারীদের একটি সাধারণ কিন্তু জটিল হরমোনজনিত সমস্যা। এটি শুধু মাসিক অনিয়ম নয়, বরং

Read More
error: Content is protected !!
🛠️ Change