শিশুর জন্মের সময় বা তার ছ’মাস পর পর্যন্ত শরীরে ‘বেবি ফ্যাট’ থাকে। যা তারা মায়ের দুধ থেকে পায়। কিন্তু ৬ মাস পর থেকে মায়ের দুধের পাশাপাশি অন্য খাবারের সাথে কিছু ফ্যাট জাতীয় খাবার দিতে হয়।

কবে থেকে শিশুকে ঘি দিবেন?
শিশুরা যতদিন শুধুমাত্র মায়ের দুধ পান করে, ততদিন তাদের শরীরের প্রয়োজনীয় ফ্যাট সেই দুধ থেকেই তারা পেয়ে যায়। ৬ মাস থেকে মায়ের দুধ খাওয়ানো কমে এলে শিশুকে ঘী খেতে দেওয়া যেতে পারে। যদি শিশু ছ’মাস বয়স পর্যন্ত মায়ের দুধ খায়, তা হলে সাত-আট মাসের মাথায় তাকে ঘী খাওয়ানো শুরু করা উচিত। তবে ঘি খাওয়ানোর আগে বিশেষজ্ঞ থেকে জেনে নিন, আপনার শিশুকে এখুনি দেয়া যাবে কিনা এবং কি পরিমান দেয়া যেতে পারে। কারন প্রতিটি শিশুই ভিন্ন।

ঘি খাওয়ানোর পরিমান
কোনও ভাবেই দিনে এক চামচের বেশি দেয়া যাবে না। এবং একদম শুরুতে শুধুমাত্র কয়েক ফোটাই যথেষ্ট। ধিরে ধিরে পরিমান বাড়াতে পারেন। যেদিন ঘি দিবেন সেদিন অন্য চর্বিযুক্ত খাবার কম কিংবা বাদ দিতে হবে।

আবারও বলা দরকার, এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে, চিকিৎসকের সঙ্গে অবশ্যই কথা বলে নিতে হবে। একেক শিশুর শরীরের গড়ন একেক রকম। তাই ঠিক কতটা ঘী তাকে দিতে হবে, সে বিষয়ে বলতে পারেন একমাত্র চিকিৎসক কিংবা পুস্টিবিদ।

ঘীয়ের উপকারিতা
ওজন বাড়ানো:
যে সব বাচ্চাদের ওজনের ঘাটতি রয়েছে, তার ওজন বাড়াতে সাহায্য করে ঘী।

হজমের সহায়ক:
খাবার দ্রুত হজম করায় এবং পুষ্টি পেতে সাহায্য করে।

প্রয়োজনীয় এনার্জি:
শিশুর বড় হয়ে ওঠার জন্য দিনের মাথায় প্রায় ১৫০০ ক্যালোরি শক্তির প্রয়োজন। যার অনেকটাই পাওয়া যায় ঘী থেকে।

প্রয়োজনীয় ভিটামিন এবং মিনারেল:
ঘীয়ের মধ্যে ভিটামিন এ, ডি, ই, কে থাকে। এছাড়াও বেশ কিছু মিনারেল-ও থাকে এর মধ্যে। শিশুর বৃদ্ধিতে যেগুলোর কার্যকরী ভূমিকা রয়েছে।

মস্তিষ্কের বিকাশ:
৫ বছর বয়স পর্যন্ত শিশুর মস্তিষ্কের সবচেয়ে দ্রুত বিকাশ হয়। ঘীয়ের মধ্যে থাকা ওমেগা ৩ মস্তিষ্কের বিকাশের সহায়ক।

ত্বকের জন্য ভালো:
শিশুদের ত্বকের নানবিধ অসুখের মোকাবিলা করতে ঘী সাহায্য করে।

রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়:
ঠান্ডা লাগা, জ্বর হওয়ার মতো সাধারণ অসুখের মোকাবিলা করতে ঘী খুবই সাহায্য করে।

ক্যানসারের প্রবণতা কমে:
বেশ কিছু পরীক্ষায় দেখা গিয়েছে ঘীয়ের মধ্যে থাকা উপাদান শিশুর শরীর থেকে কার্সিনোজেন তাড়াতে সাহায্য করে। ফলে বিশেষজ্ঞদের অনেকেই বলছেন, পরিমিত মাত্রার ঘী খেলে শিশুদের শরীরে ক্যানসারের প্রবণতা কমে।

কিভাবে দিবেন?
→শিশুর ডাল-ভাত এর সঙ্গে কিছুটা ঘী মিশিয়ে হাল্কা গরম করে খাওয়াতে পারেন।
→শিশুকে তার বয়স অনুযায়ী হোমমেড সেরেলাক অথবা সুজির সাথে ঘি মিশিয়ে দেয়া যেতে পারে। এক্ষেত্রে সেরেলাক কিংবা সুজি ঘি দিয়ে হাল্কা ভেজে নিয়ে দুধ মিশিয়ে দিতে পারেন। এর সাথে খেজুর চিনি/কিসমিস অথবা শিশুর বয়স ১০ মাসের বেশি হলে বাদাম গুড়ো দিতে পারেন।
→শিশুকে শুধু ভাত অথবা সবজি ভাতের সাথেও ঘি মিশিয়ে দিতে পারেন।

তবে মনে রাখতে কোনও কিছুই বেশি খাওয়ানো ভালো নয়। তাই প্রতিদিন দেয়া যাবে কিনা এবং কতটুকু পরিমান দিতে হবে তা অবশ্যই তা অবশ্যই বিশেষজ্ঞের থেকে ভালো করে জেনে নিয়ে তবেই ওকে ঘী দিন। এবং শিশুকে সবচেয়ে খাটি ঘি দিন। কারন শিশুর সাস্থ সুরক্ষায় কোন ছাড় নয়।

লাকড়ির চুলায় হাতে বানানো ঘি অর্ডার করতে ভিজিট করুন: https://shadleens.com/product/hand-made-premium-ghee

Leave a Comment

Your email address will not be published.