ব্রেস্ট ক্যান্সার সচেতনতা মাস!

ব্রেস্ট ক্যান্সার সচেতনতা মাস!

ব্রেস্ট ক্যান্সার সচেতনতা মাস!

পুরো অক্টোবর মাস হচ্ছে ব্রেস্ট ক্যান্সার সচেতনতা মাস।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসেবে বাংলাদেশে প্রতি বছর ১৫ হাজারের বেশি মানুষ ব্রেস্ট ক্যান্সার বা স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হচ্ছেন। এদের মধ্যে শতকরা ৯৮ শতাংশের বেশি নারী, তবে খুব অল্প সংখ্যক পুরুষও স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হন।

প্রতি বছর প্রায় সাড়ে সাত হাজার মানুষ এ রোগে মারা যান। একে মরণব্যাধি বা ঘাতকব্যাধি বললেও ভুল বলা হবে না। পৃথিবীর সব ঘাতক ব্যাধির মধ্যে স্তন ক্যান্সার বেশি মারাত্মক। ক্যান্সারজনিত মৃত্যুর কারণ হিসেবে সারাবিশ্বে স্তন ক্যান্সারের স্থান দ্বিতীয়।

বিশেষজ্ঞ এর মতে স্তন ক্যান্সার হবার অনেক গুলো কারনের মধ্যে একটি অন্যতম কারণ হল খাদ্যাভ্যাসে অতিরিক্ত চর্বি ও প্রাণীজ আমিষ এবং প্রসেসড ফুড থাকা। তাই প্রতিদিনের লাইফস্টাইলে অবশ্যই খাবারের সিলেকশনে হেলদি খাবার খেতে হবে।

কিছু হেলদি খাবার যা আপনার স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে সাহায্য করবে।

ডালিম
ডালিমে আছে পলিফেনল নামক এলাজিক অ্যাসিড এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান যা ক্যান্সারের বৃদ্ধি প্রতিরোধে সাহায্য করে।

ফ্ল্যাক্স সীড/তিসি
স্তন ক্যান্সারের জন্য দায়ী ক্যান্সারের কোষের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে কার্যকার ভূমিকা পালন করে তিসিতে থাকা ওমেগা-থ্রি, লিগনান্স এবং আঁশ।

ফ্ল্যাক্স সীড গোটা, পাউডার অথবা এর তেল খাবারে অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে। স্মুদিতে ফ্ল্যাক্স সীড পাউডার যোগ করে অথবা এর তেল সালাদে ড্রেসিং করার কাজেও ব্যবহার করা যেতে পারে। এছাড়াও খাবার বেইক করতে যেমন বিস্কুট বা মাফিন তৈরি করতে এটা ব্যবহার করা যায়।

বাদাম
বাদামে রয়েছে উচ্চমাত্রায় সেলেনিয়াম, আঁশ এবং ফাইটোকেমিক্যাল। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে, প্রদাহ এবং টিউমারের বৃদ্ধি কমাতে সাহায্য করে। ভিটামিন ই সমৃদ্ধ চীনাবাদাম কোলন, ফুসফুস, যকৃত, এবং অন্যান্য ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়। এ ছাড়াও এক চামচ পীনাট বাটার অথবা মিক্সড নাট এবং সীডস বাটার লাগানো এক টুকরো পাউরুটি আপনার শরীরকে ক্যান্সার থেকে দূরে রাখতে পারে।

সবুজ সবজি
পাতাকপি, পালংশাক ইত্যাদি স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধের ‘ওয়ান স্টপ শপ’ হিসেবে বিবেচিত।

গ্রিন টি
গ্রিন টি’র ফাইটোকেমিকল নামক উপাদান শরীর সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। প্রতিদিন দুএক কাপ গ্রিন টি খাওয়া ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়।

হলুদ
ক্যান্সারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার উপাদান কারকিউমিন রয়েছে হলুদে। এটি স্তন, গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল, ফুসফুস এবং ত্বকের ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে। এক চিমটি হলুদ অনেক কঠিন ক্যান্সারের কোষের বিরুদ্ধেও কাজ করে থাকে।

তাই যেকোনো কিছু হবার আগেই আমাদের সচেতনতা সবচেয়ে জরুরি। তাই প্রতিদিনের খাবার মেনুতে হেলদি খাবার খেয়ে অবশ্যই রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ানো উচিত।

খাবারের পাশাপাশি অবশ্যই এই ৮ টি লক্ষন খেয়াল রাখতে হবে। এর কোনটি দেখা দিলে সাথে সাথে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
১) স্তনে চাকা ও লাম্প বা পিন্ড অনুভব করা যা ব্যথাহীন ও খুব দ্রুত বেড়ে যাচ্ছে আকারে।
২) স্তনের ত্বকে কোন পরিবর্তন যেমন চামড়া কুঁচকে যাওয়া, ছোট ছোট ছিদ্র দেখা দেয়া, চামড়ায় টোল পড়া, দীর্ঘস্থায়ী ঘা ইত্যাদি।
৩) নিপল (বোঁটা) দিয়ে রস নিঃসরণ হওয়া বা রক্তপাত হওয়া।
৪) নিপল ও তার আশেপাশের (Areola) কালো অংশা ফুঁসকুড়ি ও চুলকানি হওয়া।
৫) স্তনে দীর্ঘদিন ব্যথা অনুভূত হওয়া। ৬) স্তনের আকার পরিবর্তন হওয়া। ৭) গলার কাছে অথবা বগলে চাকা অনুভব করা।
৮) স্তনের বোটা ভেতরের দিকে ঢুকে যাওয়া অথবা বোটা দিয়ে পুঁজ নির্গত হওয়া। ভালো লাগলে অবশ্যই

শেয়ার করে আপনার কাছের সকলকে জানিয়ে উপকৃত করবেন।

Leave a Comment

Your email address will not be published.

Share the Post:

Related Posts

error: Content is protected !!
X
Change