আজব এই ড্রিংক মিক্সের রয়েছে অসংখ্য উপকারীতা এবং খাওয়াও যায় ৮ ভাবে। চলুন যেনে নেই কি সেই গোল্ডেন ইমিউনিটি ড্রিংক মিক্স

গোল্ডেন ইমিউনিটি ড্রিংক মিক্স

গোল্ডেন ইমিউনিটি ড্রিংক মিক্স

গোল্ডেন ইমিউনিটি ড্রিংক মিক্স কাচাহলুদ, আদা, এলাচ, দারচিনি এবং গোলমরিচ দিয়ে তৈরী। এই প্রাকৃতিক উপাদান গুলো এন্টিব্যাক্টেরিয়াল, এন্টি ফাংগাল, এন্টি ভাইরাল ইনফেকশন থেকে রক্ষা করবে এবং ইমিউনিটি বুস্ট করবে। এই ড্রিংক মিক্সটির নানান উপকারীতার জন্য খুব অল্প সময়ে এটা অধিক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে এবং আমাদের সিগনেচার আইটেম গুলোর মধ্যে অন্যতম।

গোল্ডেন ইমিউনিটি ড্রিংক মিক্স এর উপকারীতাঃ

এটা এন্টিব্যাক্টেরিয়াল, এন্টি ফাংগাল, এন্টি ভাইরাল ইনফেকশন থেকে রক্ষা করবে এবং ইমিউনিটি বুস্ট করবে। এর আরও একটি বড় গুন হচ্ছে এটা রাতের ভালো ঘুমাতে সাহায্য করার পাশাপাশি স্কিনকে প্রানবন্ত করে তুলে।

এছাড়াও এই ড্রিংক মিক্সের আরও কিছু উপকারিতা হচ্ছে-
→এতে এন্টি ইনফ্ল্যামেটরি এবং এন্টিওক্সিডেন্ট রয়েছে।
→সেল ড্যামেজ কমাতে সাহায্য করবে।
→ডিপ্রেশন কমাতে সাহায্য করবে এবং মন ভালো রাখবে।
→মেমোরি বাড়াতে সাহায্য করবে।
→ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণ রাখবে।
→এন্টিব্যাক্টেরিয়াল, এন্টি ফাংগাল, এন্টি ভাইরাল ইনফেকশন থেকে রক্ষা করবে এবং ইমিউনিটি বুস্ট করবে।
→ঠান্ডা, কাশি এলার্জিজনিত রোগ প্রতিরোধ করবে।
→হজমে সাহায্য করবে।
→ভালো ঘুমাতে সাহায্য করবে।

সবচেয়ে বড় কথা হল অসুখ হবার আগে প্রতিরোধ করা বেশি উত্তম। তাই প্রতিদিন এই ড্রিংক মিক্স খাওয়ার মাধ্যমে ইমিউনিটি বাড়ানো সম্ভব।

গোল্ডেন ইমিউনিটি ড্রিংক মিক্স এর রেসিপি

শুধু যে পানি কিংবা দুধ দিইয়ে খাবেন তা নয়, বরং এই ড্রিংক বিভিন্ন উপকারের জন্য বিভিন্ন উপায়ে খেতে পাড়েন। কিছু উপকরন পরিবর্তন এবং রেসিপি পরিবর্তন করে পেতে পাড়েন ভিন্ন উপকারীতা।

সাধারন রেসিপিঃ

গোল্ডেন মিল্ক:


দুধ ২ কাপ
ইমিউনিটি মিক্স ২ চা চামচ
ম্যাপল সিরাপ/মধু

প্রনালী :
দুধ জাল দিয়ে কিছুটা ঘন করে নিতে হবে। একটু ঘন হলে ইমিউনিটি মিক্স এবং ম্যাপল সিরাপ দিয়ে হাল্কা জাল দিয়ে নামিয়ে নিতে হবে। যারা ম্যাপল সিরাপ না দিয়ে মধু দিবেন তারা নামানোর পর দিবেন এবং চাইলে মধু ছাড়াও খেতে পারেন।

ঠিক ঘুমের কিছু সময় এই মিল্কটি আপনার ঘুমের সমস্যা কাটাতে সাহায্য করবে ইন শা আল্লাহ।

গোল্ডেন মিক্সের সকল উপকারীতা পেতে এই রেসিপিটি আপনার জন্য যথেস্ট। তবে আপনি যদি ভোজন রসিক অথবা খাবারে ভিন্নতা পছন্দ করেন তাহলে অবশ্যই বাকি রেসিপি গুলো ট্রাই করতে ভুলবেন না।

আইসড টারমেরিক ল্যাটি


ইমিউনিটি মিক্স ১ চা চামচ
দুধ ১ গ্লাস

প্রনালী:
দুধ জাল দিয়ে ঘন করে ঠান্ডা করে নিতে হবে। ওজন কমানোর জন্য ফুল ক্রিম দুধের পরিবর্তে কোকোনাট মিল্ক অথবা কাঠবাদাম মিল্ক ব্যবহার করবেন। ১/৪ কাপ হাল্কা গরম পানিতে ইমিউনিটি মিক্স ভালো ভাবে মিশিয়ে ঠান্ডা দুধে ঢেলে নিতে হবে। এবার বরফ কুচি দিয়ে খেয়ে নিন।

ডেটক্স লেমোনেড


পানি ২ কাপ
ইমিউনিটি মিক্স ২ চা চামচ
গ্রিন টি (অপশনাল)
লেবুর রস

প্রনালী:
পানির সাথে ইমিউনিটি মিক্স দিয়ে কিছু সময় গরম করে এতে গ্রিন টি দিয়ে সামান্য জাল করে নিন। এবার এটা ছেকে লেবুর রস দিন। এই লেমোনেড গরম অথবা ঠান্ডা করে বরফকুচি দিয়েও খেতে পারেন। ওজন কমাতে এই ডেটক্সটি উপকারী। এছাড়াও শরীরের খারাপ জিনিস গুলো কমিয়ে দিতে সাহায্য করে।

স্কিন রিপেয়ার স্মুদি

স্কিনের জন্য এই ড্রিংক মিক্সটি অসম্ভব উপকারী। তবে একে আরো কিছু উপাদান দিয়ে স্মুদি করলে যেমন মজাদার হবে তেমনি উপকারীতাও বাড়বে।


গাজরের জুস ১ কাপ
কলা ১ টি
আম ১ টি
মধু ১ টেবিল চামচ
লেবুর রস ১ টেবিল চামচ
ইমিউনিটি মিক্স ১ চা চামচ
দুধ ১ কাপ

প্রনালী:
৪ টি গাজর ৪টা সামান্য পানি দিয়ে ব্লেন্ড করে ছেকে নিয়ে গাজরের জুস বানিয়ে নিন। এবার এই জুসের সাথে সব উপকরন দিয়ে ভালো ভাবে ব্লেন্ড করে বানিয়ে নিন মজাদার স্কিন রিপেয়ার স্মুদি।

হেলদি টারমেরিক শটস

অরেঞ্জ ২ টা
লেবুর রস ২ টেবিল চামচ
পানি ৩/৪ কাপ
ইমিউনিটি মিক্স ২ চা চামচ

প্রনালী:
সব গুলো উপকরণ ভালো ভাবে ব্লেন্ড করে নিন। এই শটস ঠান্ডা কাশি সহ স্কিনকে প্রানবন্ত করতে সাহায্য করবে। দিনের শুরুতে এই শটস অনেকটা টনিক হিসেবে কাজ করবে।

লিভার ডিটক্স গাজর আদার স্যুপ

এই গাজর এবং আদার স্যুপ লিভার ডিটক্স করতে সাহায্য করবে। যারা অনেক দিন থেকে লিভারের সমস্যায় ভুগছেন এটা খাবার তালিকায় রাখতে পারেন। এছাড়াও শীতে এই স্যুপ আমাদের ইমিউনিটি বাড়াতে সাহায্য করবে ইন শা আল্লাহ।

মজাদার এই স্যুপটির রেসিপি পেতে ক্লিক করুক

গোল্ডেন মিল্ক ফ্র্যাপাচিনো

বরফ কুচি ১কাপ
গোল্ডেন মিক্স ১ টেবিল চামচ
মধু ১ চামচ
দুধ ১ গ্লাস

সব উপকরন ভালো ভাবে ব্লেন্ড করে নিতে হবে। এবার গ্লাসে ঢেলে উপরে ক্রিম দিয়ে বানিয়ে নিন মজাদার ফ্র্যাপাচিনো।

ভিডিও রেসিপি

ন্যাচারাল এন্টিবায়োটিক

মধু ২ চা চামচ
গোল্ডেন মিক্স ১ চা চামচ

দুইটি উপকরণ খুব ভালো মিক্স করে নিতে হবে। ঔষধের মত প্রতি দিন খাবারের পর ১ চামচ খেলে ঠান্ডা কাশি সহ গলা ব্যাথায় উপকার পাওয়া যাবে।

সারাবছর এই ড্রিংক মিক্স খাওয়া যায়। প্রতিনিয়ত এর উপকার পেতে হলে একে নিয়মিত খাবার তালিকায় রাখা জরুরি। আজকাল যে হারে ঠান্ডা কাশি সহ ফ্ল বেড়ে উঠেছে প্রতিদিন রাতে ঘুমের আগে এক কাপ ইমিউনিটি ড্রিংক মিক্স ছাড়া উপায় নাই।

গোল্ডেন মিল্ক খাওয়ার সময় সতর্কতা:

  1. অতিরিক্ত সেবন নয় – পেটে গ্যাস বা ডায়রিয়া হতে পারে।
  2. অ্যালার্জি – হলুদ বা দুধে সমস্যা থাকলে পরিহার করুন।
  3. গর্ভাবস্থা – চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
  4. ওষুধের প্রভাব – রক্ত পাতলা করার ওষুধ বা ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকুন।
  5. পিত্তথলির সমস্যা – সমস্যাকে বাড়াতে পারে।
  6. ল্যাকটোজ অসহিষ্ণুতা – দুধের বিকল্প ব্যবহার করুন।

পরিমিত ও সঠিক সময়ে খেলে এটি স্বাস্থ্যকর। তাছাড়া এটা কোন ওষুধ নয়। প্রাকৃতিক উপাদানে এই খাবার নিশ্চিন্তে খেতে পাড়েন। তবে যেকোনো এটা প্রিজারভেটিভ এবং কেমিক্যাল মুক্ত তাই একে অবশ্যই নরমাল ফ্রিজে সংরক্ষন করতে ভুলবেন না।

Order link:

Share the Post:

Related Posts