
মিলেট খিচুড়ি রেসিপি: স্বাস্থ্য উপকারিতা ও বিস্তারিত
মিলেট কি? মিলেট বা কংকনাজাতীয় শস্য হলো একটি প্রাচীন সুপারফুড। এটি গ্লুটেন-ফ্রি, উচ্চ আঁশসমৃদ্ধ এবং খনিজে ভরপুর। ভাত বা গমের
সর্দি কাশি যখন পিছু ছাড়ছে না তখন ব্যবস্থা তো নিতেই হবে। বিশেষ করে শিশুদের সর্দি কাশি হলে সেক্ষেত্রে রাতের ঘুম বিসর্জন সহ সারা পরিবারের ভোগান্তি। তাই ঘরোয়া কিছু পদ্ধতিতে সর্দি কাশি কমানোর ব্যবস্থা করতে হবে। কারন আজকাল সর্দি কাশি হলে অনেকেরই আতংক হয়ে যায় করোনা হয়ে গেল কিনা। তবে সর্দি কাশি মানেই কিন্তু করোনা নয়।
আজওয়াইনঃ
সর্দি কাশি মানেই নাক বন্ধ। তাই ভালো ঘুমের জন্য জোয়ান পোটলি ছোটবড় সকলের জন্য খুব কার্যকর। আজওয়াইন খুব অল্প আচে চুলায় টেলে সুতি কাপড়ে নিয়ে পুটলি বেধে ঘুমের সময় পাশে রেখে দিতে পারেন। এছাড়াও পুটলি সহনীয় পর্যায়ে গরম করে বুকে, পিঠে, পায়ের তালু তে সেক দিতে পারেন। এবং নাকের কাছে নিয়ে দম নিতে পারেন। তবে শিশুদের ক্ষেত্রে ১ বছরের কম হলে সরাসরি না দিয়ে বালিশের কাছে রেখে দিতে পারেন।
মধুঃ
মধুকে কাশির মহাঔষধ বলা যেতে পারে। বিভিন্ন গবেষণায় বলা হয়, মধু কখনো কখনো কাশিরোধী ওষুধগুলোর চেয়েও ভালো কাজ করে।
যেভাবে খেলে বেশি উপকার পাবেন-
→দিনে ৩ বার ১ টেবিল চামচ মধু খান। কাশির কারণে ঘুমাতে সমস্যা হলে শোয়ার আগে ১ টেবিল চামচ মধু খেয়ে নিন। এক বছরের উপর বাচ্চাদের অল্প পরিমান দিতে পারেন।
→গরম পানিতে সামান্য মধু, লেবুর রস আর আদার রসের মিশ্রণ কফ এবং গলা ব্যথা নিরাময়ের জন্য বহুল প্রচলিত এই ঘরোয়া পানীয়।
→ঘরোয়া ওষুধ হিসেবে ২ গ্লাস পানির সাথে ২ টেবিল চামচ আদা পাউডার এবং ১ টেবিল চামচ পুদিনা পাতা মিশিয়ে দিয়ে চুলায় সিদ্ধ করতে দিন। পানি ফুটে অর্ধেক হয়ে আসলে তখন চুলা থেকে নামিয়ে ঠান্ডা করে ১ কাপ মধু ভালো করে মিশিয়ে নিন। ৩ ঘণ্টা পর পর এক টেবিল চামচ করে এই ঘরোয়া ঔষধ খেতে হবে। এটা ঠান্ডা এবং শুষ্ক স্থানে রাখুন।
→খুসখুসে কাশি ভাল করার জন্য গরম দুধের সাথে মধু মিশিয়ে পান করুন। এতে বারবার কাশির কারণে বুক ব্যাথাও ভাল হবে। ভাল ফলাফলের জন্য ঘুমানোর আগে এক গ্লাস গরম দুধের সাথে ২ টেবিল চামচ মধু মিশিয়ে পান করুন।
সরিষার তেলঃ
ঠান্ডা কাশি কমাতে সরিষার তেল অনেক উপকারী। এটি শ্বাসতন্ত্রের বাধা পরিষ্কার করে; অ্যাসমা ও সাইনাসের সমস্যা কমায়। সরিষার তেল, পেঁয়াজ ও কাঁচা মরিচের ভর্তা কফ তরল করে। যেকোনো ভর্তা তৈরিতে খাটি সরিষার তেল দিয়ে খেতে পারেন। এছাড়া রান্নাতেও ব্যবহার করতে পারেন।
শিশুদের জন্য সরিষার তেল খানিকটা গরম করে নাক, গলা, বুক, হাত পায়ের তালুতে ঘষে দি্তে পারেন। পুরনো সর্দি-কাশির জন্য সরিষা তেলে রসুন কোয়া থেঁতলে দিয়ে গরম করে ব্যবহার করতে পারেন।
কালোজিরার তেল ঃ
মহানবী (সঃ) বলে গেছেন, মৃত্যু ব্যতিত সর্ব রোগের মহৌষধ কালোজিরা। সর্দি-কাশি উপশমে খুব কার্যকর কালোজিরা । কালোজিরা বেটে ভাতের সাথে খেতে পারেন। তবে তীব্র গন্ধযুক্ত ও ঝাঁঝালো হওয়ায় অনেকে খেতে পারেন না। আবার বাটাবাটির ঝামেলার জন্য অনেক সময় খাওয়া যায় না। তাই কালোজিরার তেল ব্যবহার করতে পারেন।
নিয়ম-
→জ্বর, ব্যথা, সর্দি-কাশি দূর করতে এক চা-চামচ কালোজিরার তেলের সঙ্গে তিন চা-চামচ মধু ও দুই চা-চামচ তুলসী পাতার রস মিশিয়ে তিন চারদিন খেলে জ্বর, ব্যথা, সর্দি-কাশি দূর হয়। আরো দ্রুত ফল পেতে বুকে ও পিঠে কালিজিরার তেল মালিশ করুন।
→ঘুমানোর সময় নাক বন্ধ হলে হাল্কা কালোজিরার তেল নিয়ে তার ঘ্রাণ নিলে বেশ উপকার পাওয়া যায়।
→এছাড়াও কালোজিরা রোগ প্রতিরোধ শক্তি অনেক বাড়িয়ে দেয়। তাই নিয়মিত এই তেল খেতে পারেন।
দুধ হলুদঃ
বাচ্চা থেকে বুড়ো সকল বয়সের মানুষের সর্দি-কাশি নিরাময়ে দুধ-হলুদ একটি উপকারী খাবার। হলুদে অ্যান্টি ভাইরাল ও অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান থাকায় তা সর্দি-কাশি উপশমে সহায়তা করে। গরম দুধে ২/৩ চামচ হলুদ গুড়ো দিয়ে ভালভাবে গুলিয়ে খেতে হবে।
মাসালা চাঃ
ঠান্ডা কাশি কমাতে মাসালা চা এর কোন তুলনা নেই। আদা, লবংগ, এলাচ, দারচিনি, কালোজিরা দিয়ে প্রতিদিন চা খেলে গলা ব্যাথা কমে এবং কাশি ও সেরে যায়।
ঘরোয়া লজেন্সঃ
আদা, মধু, লেবু দিয়ে তৈরি এই ঘরোয়া লজেন্স ঠান্ডা কাশি কমাতে অনেক কার্যকর। ১ বছরের উপর শিশুরা চিবিয়ে খেতে পারলে তাদের কেও অল্প অল্প দিতে পারেন। আর কাজের ফাকে আপনিও চিবিয়ে খেতে পারেন।
সর্দি কাশি হলেই এসব খাবার খেতে হবে তা নয়, বরং প্রতিরোধ করতে নিয়মিত এসব খাবার খেয়ে সুস্থ থাকুন। এছাড়াও –
√সবসময় পুস্টিকর খাবার খান
√প্রতিদিনের খাবারে ইমিউনিটি বাড়ানো আইটেম গুলো খান
√ঠান্ডা খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
√সব সময় পরিস্কার পরিছন্ন থাকুন।
√বাইরে থেকে আসলে ভালো ভাবে হাত পা সেনিটাইজ করুন।
আপনার সুস্থ থাকার সকল প্রয়োজনীয় খাবার পেয়ে যাবেন আমাদের কাছে।
তাই ভিজিট করুন www.shadleens.com
ভালো লাগলে অবশ্যই শেয়ার করে সকলকে জানাতে সাহায্য করুন।

মিলেট কি? মিলেট বা কংকনাজাতীয় শস্য হলো একটি প্রাচীন সুপারফুড। এটি গ্লুটেন-ফ্রি, উচ্চ আঁশসমৃদ্ধ এবং খনিজে ভরপুর। ভাত বা গমের
🌿 Indian Sweet Green Fennel Seeds: Details & Health Uses ✅ What Are Indian Green Fennel Seeds? Indian green fennel
No account yet?
Create an Account