Homemade Oats Meal-Baby Food
৬ মাস বয়স থেকেই শিশুকে দেয়া যাবে এই ওটস। শিশুর প্রথম খাবার হিসেবে ওটস এর আসলেই কোন তুলনা হয় না। আমরা অনেকেই এই ওটস টি দিতে পছন্দ করি। আসুন জেনে নেই কোন ওটস টি শিশুর জন্য সবচেয়ে ভালো?
ওটস কয়েক রকম আছে। কিন্তু আমাদের দেশের বেশিরভাগ মানুষ ওটস বলতে মুলত ইন্সটান্ট ওটস কেই বুঝে থাকে। কিন্তু ইন্সটান্ট ওটস টি আসলে প্রসেসড ফুড যা মুলত ওজন কমানোর জন্য স্পেশাল ভাবে তৈরি করা হয়। যা শিশুর জন্য কখনই ভাল না। এটি দামে সস্তা এবং সহজলভ্য।
→তাহলে কোন ওটস টি ভালো?
ওটসের মধ্যে স্টিল কাট ওটস এবং রোলড ওটস সবচেয়ে হেলদি কিন্তু স্টিল কাট রান্না করতে অনেক সময় লাগে আর এটি শিশুরা সহজে খেতে পারে না। তাই শিশুর জন্য বেস্ট অপশন হচ্চে রোলড ওটস। শুধুমাত্র শিশুই নয় বড়ছোট, ডায়াবেটিক রোগী সকলের জন্য এটি খুব উপকারী।
রোলড ওটস টি ইন্সটান্ট ওটস এর মত সব জায়গায় পাওয়া যায় না এবং দাম ও বেশি। বাহিরের দেশে শিশুদের মুলত রোলড ওটস অথবা স্টিল কাট ওটস দেয়া হয়। কারণ ইন্সটান্ট ওটস টি অনেক রকম প্রসেস এর কারনে এর Nutrition হারিয়ে ফেলে।
তাই আমরা এনেছি রোলড ওটস দিয়ে তৈরি মজাদার oatmeal। ৬ মাস বয়স থেকে যেকোনো বয়সের সবাই এটি খেতে পারবে।
এটি মুলত এমন একটি খাবার যা-
√সম্পুর্ন হোমমেড
√ঝামেলা মুক্ত ইন্সটান্ট ফুড। তাই বেড়াতে গেলে রান্না করার ঝামেলা থেকে বাচা যাবে।
√এটি খেতে যেমন মজার তেমনি অসম্ভব পুষ্টিকর।
উপকরণ ঃ
রোলড ওটস, কিসমিস, খেজুর
ওটসের উপকারীতাঃ
→ওটসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, আয়রন, প্রোটিন, ভিটামিন বিসহ একগুচ্ছ পুষ্টি উপাদান।
→বিশেষত ওটসে রয়েছে ভিটামিন বি যা শরীরে কার্বোহাইড্রেট হজমে সাহায্য করে। তাছাড়া ওটসে রয়েছে প্রচুর ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, জিঙ্ক, কপার, ম্যাঙ্গানিজ, থিয়ামিন, ভিটামিন ইত্যাদি যা অন্যান্য শস্যজাতীয় খাবারের তুলনায় বেশি।
→তাছাড়াও এতে রয়েছে উপকারি ফ্যাটি অ্যাসিড, মানে মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট।
→ওটসে রয়েছে বেটা গ্লুকোন নামক বিশেষ ধরনের ফাইবার যা শরীরে কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। প্রতিদিন তিন গ্রাম ওটস খেলে তা প্রায় আট থেকে দশ শতাংশ পর্যন্ত কোলেস্টেরল কমানোর সহায়ক।
→ হার্ট ভালো রাখে ওটস। এতে রয়েছে বিশেষ এক ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান যা শরীরের ভালো কোলেস্টেরল মানে এলডিএলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। আর এর ফলে হৃদরোগের ঝুঁকিও কমে।
→ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে এবং অতিরিক্ত মানসিক চাপ বা দুশ্চিন্তার কারণে হাইপারটেনশনের ঝুঁকি কমায় ওটস।
→ওটসের বেটা-গ্লুকোন শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বা ইমিউনিটি সিস্টেমকে বৃদ্ধি করে। শরীরে ব্যাক্টিরিয়া জনিত ইনফেকশন প্রতিরোধেও সাহায্য করে ওটস।
→ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য এটি খুব উপকারী। ডায়াবেটিস রোগীরাও তাঁদের খাদ্য তালিকায় শামিল করতে পারেন ওটস। লো ক্যালোরি ও সুগার ফ্রি হওয়ায় ডায়াবেটিসের রোগীরা অনায়াসেই এটি ব্রেকফাস্টে রাখতে পারেন। তবে খেতে হবে দই বা স্কিমড মিল্কে।
→হজম ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে ওটস। যাঁরা কোষ্ঠকাঠিন্য বা হজমের সমস্যায় ভুগছেন, তাঁদের জন্য ওটস দারুণ উপকারী। কেননা এতে থাকা ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। তাছাড়া লিভারের জন্যও ওটস উপকারী।
→ওটস খাওয়ার পর দীর্ঘসময় পেট ভরা ভাব অনুভূত হয়। ফলে চট করে খিদে পায় না। তাই ব্রেকফাস্টে ফল সহযোগে একবাটি ওটমিল খেয়ে নিলে অনেকক্ষণ খিদে পায় না।
এই খাবারে ওটসের গুনাগুন এর পাশাপাশি খেজুর, কিসমিস এর গুনাগুন তো থাকছেই।
Customer reviews
Reviews
There are no reviews yet.
Write a customer review